নগরের পতেঙ্গা থানার শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামিম মাহমুদ বাপ্পীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। শামিম মাহমুদ প্রকাশ জহিরুল ইসলাম বাপ্পি (৩৪) ফেনী জেলার দাগনভূইয়া থানার দক্ষিণ করিমপুর এলাকার আব্দুল মান্নান প্রকাশ নবিউল হকের ছেলে।
র্যাব-৭ জানিয়েছেন, সাত মাসের শিশু অপহরণের এক মাস পূর্বে আসামি আসমা ও শামিম মাহমুদ বাপ্পি স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে শিশুর পিতা হাবিবুর রহমানের বাসা সাবলেট হিসাবে ভাড়া নেয়। হাবিবুর রহমানের শিশু সন্তানকে শামীম মাহমুদ তার সাজানো স্ত্রী আসমা এবং অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে শামীম মাহমুদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃত শিশুর পিতার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অপহৃত শিশুর পিতা-মাতা নিরুপায় হয়ে প্রাথমিকভাবে বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পাঠায়।
পরে বিষয়টি নগরের পতেঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরবর্তীতে পতেঙ্গা থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় নগরের কর্ণেল হাট এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী শামিম মাহমুদ বাপ্পিকে গ্রেফতার করে।
শামিম মাহমুদের তথ্য মতে একই এলাকা থেকে অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত আরও দুজন আসামি আলাউদ্দিন ও তার পাতানো স্ত্রী আসমা বেগমেকে গ্রেফতার এবং অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। শিশুর পিতা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। আসামি জামিনে এসে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আদালত আসামির অনুপস্থিতে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে শামিম মাহমুদ বাপ্পিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার বলেন, শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামিম মাহমুদ প্রকাশ জহিরুল ইসলাম বাপ্পি নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড খালপাড় এলাকায় অবস্থান করার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এমআর