প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সরকার জনগণের কথা ভাবেনি। সেটা জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া যেই হোক। জাতির পিতাকে যারা হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কখনোই দেশের গণমানুষের কথা ভাবেনি।
রোববার (২০ আগস্ট) সকালে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন’ ও ‘তথ্য কমিশন ভবন’ এবং ‘বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে সামরিক শাসন জারি করে যারা সরকারে এসেছিল, তারা কখনোই গণমানুষের কথা ভাবেনি। সেটা জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া যেই হোক। ক্ষমতাকে ভোগ করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করা, এটাই তারা জানত। বর্তমানে দুর্যোগ ও অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিএনপির সময় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কিছুই হয়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সব ক্ষেত্র আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠী গড়ে তুলছি। তথ্য চাওয়া ও পাওয়া মানুষের অধিকার। আওয়ামী লীগ সরকার মোবাইল ফোনকে সর্বজনীন করেছে।’
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের বার্তা
সিনেমা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কলকাতা থেকে এই উপমহাদেশে সিনেমার যাত্রা শুরু। আমাদের সিনেমা শিল্পের যাত্রা জাতির পিতার হাত ধরে। উনি শিল্পমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এফডিসি নির্মাণ করেন।
তিনি বলেন, ‘সিনেমায় জনসাধারণের জন্য বার্তা থাকতে হবে। মাঝে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখা যেত না। এখন তার পরিবর্তন হয়েছে। এখন আধুনিক প্রযুক্তিতে সিনেমা দেখানো হয়। হল মালিকদের সিনেপ্লেক্স তৈরির সুযোগ করে দিয়েছি। এখন ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে, বিদেশে আমাদের সিনেমা প্রশংসা পাচ্ছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সুবিধার ব্যবস্থা আমরাই করেছি’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আমরা গঠন করেছি। যন্ত্রশিল্পী থেকে শুরু করে সব শিল্পীদের সহায়তা করেছি। মানসম্মত সিনেমা নির্মাণের সব ব্যবস্থা করেছি। এফডিসি কমপ্লেক্স করছি।’
আমি মনে করি, শিশুদের জন্য সিনেমা করতে হবে। যারা সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত, তাদের শিশুদের জন্য সিনেমা নির্মাণ করার অনুরোধ করছি।
জেএন/এমআর