ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
রবিবার ভোরে রিয়া মণি নামে ছয় বছরের এক শিশু মারা গেছে। একইদিন রাতে রুবেল নামে ছয় মাসের এক শিশু মারা গেছে।
নিহত শিশুদের স্বজনরা জানিয়েছে রিয়ামণি নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় একটি বস্তির বাসিন্দা। সপ্তাহখানেক আগে তার জ্বর হলে গত ১৬ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
মৃত অপর শিশুটি কক্সবাজারের উখিয়ার কুতপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রুবেলকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ১৬ আগস্ট থেকে সে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। রবিবার রাতে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত ২৪ ঘন্টায় ৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ১ জন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৩১ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২৭ জন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেজ হাসপাতালে এবং ৭ জন চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত আরও ২৯ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর চট্টগ্রামে মোট ৪ হাজার ৭০৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৪৪৮০জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।
চলতি আগস্ট মাসে ১৯৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, ২ হাজার ৩১১ জন।
এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন এবং জুন মাসে ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছর মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে শিশু-কিশোর মিলিয়ে ১৮ জন, ১১ জন পুরুষ এবং ১৭ জন নারী আছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩ জন, জুনে ৬ জন, জুলাইয়ে ১৬ জন এবং আগস্ট মাসের ২০ দিনে ২১ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে ৫ জন মারা গিয়েছিল।
জেএন/পিআর