জাল টাকার হোম ডেলিভারি। অবাক হলেও এমনটিই করে আসছিল একটি চক্র। ৪৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দিলে ৩ দিনের মধ্যে বাসায় এসে দিয়ে যাবে জাল নোট। ফেসবুকে এমনই সব বিজ্ঞাপন দিয়ে জাল টাকা বিক্রি করে আসছিল চক্রটি।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে চক্রটি।
চটকদার বিজ্ঞাপন ও ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিল জাল নোট বিক্রির এই চক্রটি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হোম ডেলিভারি করার শর্তে এক লাখ টাকা মূল্যের জালনোট মাত্র ১২ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর ডেমরা, খিলগাঁও ও সবুজবাগ থেকে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। চক্রের প্রধান আমিনুল হক একবছর ধরে জাল টাকা তৈরি করছিলেন জানিয়ে র্যাব বলছে, আমিনুল ফটোশপ ও গ্রাফিকসের কাজ জানতেন।
র্যাবের বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, গ্রেপ্তার দিদার, সুজন ও সাদিক গ্রাহক যোগাড় করতো। ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ ব্যবহার করে বাজারে ছাড়ার কাজ এই তিনজনই করতো। মূলত মাছ বাজার আর বাসস্টান্ডে জাল টাকা ছাড়তো তারা।
এক বছরে প্রায় ২ কোটির সমান জাল টাকা বাজারে ছেড়েছে চক্রটি। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৫২ লাখ জাল টাকা জব্দ করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
জেএন/এমআর