ভোরে সূর্যের আলো ফুটলেই সরগরম চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি মাছের বাজার ফিশারিঘাট। ছোট-বড় শতাধিক আড়তের বেশিরভাগেই এখন ধুম ইলিশের যোগানে।
ছোট-মাঝারি কিংবা বড় বড় সাইজের ইলিশের দেখা মিললেও দাম নাগালের বাইরে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এদিকে ইলিশের আমদানি বাড়ায় লাভবান হওয়ার আশা আড়ৎদারদের।
আড়ৎগুলোতে বেড়েছে কাট্টলি, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, হাতিয়া, সন্দীপ, চর আলেকজান্ডার, ভোলা ও বরিশালসহ সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের আমদানি।
গেল ৩/৪ দিন ধরে গড়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশ আসছে এই বাজারে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে সরগরম সবচেয়ে বড় ইলিশের পাইকারি আড়ৎটি। আমদানি বাড়ায় লাভের আশায় হাসি ফুটেছে আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের মুখে।
একজন বিক্রেতা বলেন, “সারাবছর মাছের আমদানি তেমন ছিলোনা। গেলো কদিন ধরে আমদানি বেড়েছে।
তবে নিরাশ সাধারণ ক্রেতারা। বলছেন, আমদানি বাড়লেও দাম তেমন একটা কমেনি। একজন বিক্রেতা বলেন, ইলিশের অনেক সরবরাহ কিন্তু এসে দেখি অনেক দাম। আরেক ক্রেতা বলেন, ঢাকা-চাঁদপুরের তুলনায় চট্টগ্রামের এ পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম অনেকটাই বেশি।
বর্তমানে পাইকারি বাজারে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’-২হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১২শ’-১৫শ এবং ১ কেজির নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭শ- এক হাজার টাকায়। ৫শ গ্রামের নিচে ওজনের ইলিশ কিনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪শ টাকার ওপরে। খুচরা বাজারে আকার ভেদে তা আরো অনেক বেশি।
সামনে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে, তখন দামও কমে আসবে বলছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এক কর্মকর্তা বলেন, আশা করছি উৎপাদন আরও বাড়বে আর উৎপাদন বাড়লে দামটাও হাতের নাগালে আসবে।
জেএন/পিআর