বড় রকমের প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা দেখিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু ছোট ছোট ভুল আর টুর্নামেন্টের মাঝপথে খেই হারানোর কারণে শেষ চারে আর জায়গা করে নেওয়া হয়নি মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন দলের। সেবার বাংলাদেশের শুরুটা ভাল হলেও শেষটা ছিল হতাশার।
বছর চারেক পর আরও একবার বিশ্বকাপ হাজির। এবার ভেন্যু বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারতে। যেখানকার কন্ডিশন বাংলাদেশের কাছে বেশ চেনা। বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়ে আরও একবার বিশ্বমঞ্চে যাবে টাইগাররা। মূল প্রতিযোগিতার আগে পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে সেই প্রত্যাশা আরও কিছুটা বাড়বে।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে সারাবিশ্বে বোলিং বিভাগে বাংলাদেশ রীতিমত দাপট দেখিয়েছে। বোলিং লাইনআপের হিসেবে পেস বোলিং এর বিচারে টাইগার পেসাররা আছেন ২য় স্থানে। আর স্পিনে বিশ্বসেরার তকমাই জুটেছে বাংলাদেশের।
পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে বিশ্বের সেরা পেস বোলিং লাইনআপ পাকিস্তানের। নাসিম শাহ, শাহিনশাহ আফ্রিদি, হারিস রউফদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানের পেস ইউনিট যেকোন দলের জন্যই বড় হুমকি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ২৯ ম্যাচে ২৭ গড়ে ১৬৩ উইকেট নিয়েছে দেশটর পেসাররা।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে পেসারদের পারফরম্যান্স-
দেশ ম্যাচ উইকেট গড় স্ট্রাইক রেট
পাকিস্তান ২৯ ১৬৩ ২৭.০০ ২৯.৩৮
বাংলাদেশ ৪৫ ১৮৯ ২৮.৩৩ ৩১.৫৫
নিউজিল্যান্ড ৩৬ ১৯৫ ৩০.০৪ ৩৩.৪৮
ভারত ৫৭ ২৫৮ ৩০.৪৪ ৩১.৭৬
অস্ট্রেলিয়া ৩৬ ১৬৫ ৩০.৬১ ৩৬.১০
ইংল্যান্ড ৩৬ ১৭৮ ৩০.৮৬ ৩৫.০৫
আফগানিস্তান ২৫ ৭১ ৩১.৮৮ ৩৬.১৮
শ্রীলঙ্কা ৫০ ১৭৯ ৩২.২৩ ৩৩.৬৮
আয়ারল্যান্ড ৪১ ১৮০ ৩২.২৮ ৩৪.২৮
সাউথ আফ্রিকা ৩৫ ১৫২ ৩৩.৫০ ৩৪.৭৫
তালিকার পরের নামটাই বাংলাদেশের। দুই বিশ্বকাপের মধ্যবর্তী এই সময়ে ৪৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পেসাররা নিয়েছেন ১৮৯ উইকেট। যেখানে ২৮.৩৩ গড় ও ৩১.৫৫ স্ট্রাইক রেটে উইকেট তুলেছেন তাসকিন-মুস্তাফিজ-হাসান মাহমুদরা।
তালিকার তিনে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউথ, লকি ফার্গুসনরা ৩০.০৪ গড়ে নিয়েছেন ১৯৫ উইকেট। চারে ভারত, পাঁচে অস্ট্রেলিয়া এবং ছয়ে আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
শুধু পেসাররাই নয়, এই সময়ে বাংলাদেশের স্পিনাররাও সমান পারফর্ম করেছেন। ৪৫ ওয়ানডেতে ২৭.২২ গড়ে ১৪৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজরা। গড়ের হিসেবে তালিকার দুইয়ে আছে রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের আফগানিস্তান। যেখানে ২৮.২৮ গড়ে ১০২ উইকেট নিয়েছেন তারা। তালিকার তিনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
জেএন/এমআর