আগের দুই ম্যাচে জয় পায়নি দল। নামী খেলোয়াড়ের ভিড়ে নিজেদের কাজটাই যেন ঠিকঠাক করতে পারছিল না সৌদি লিগের দল আল-নাসর। লিগের তৃতীয় ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ান রোনালদো যেন পণ করেই নেমেছিলেন দারুণ কিছু করবেন। আল-নাসরকে হয়ে খেলেছেন মনে রাখার মত এক ম্যাচ। দলকেও খেলিয়েছেন পারফেক্ট ফুটবল।
অমন নিখুঁত রোনালদোর কল্যাণেই সৌদি প্রো লিগে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছে আল-নাসর। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন সেনেগালের তারকা সাদিও মানে। আর রোনালদো পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। এই দুইয়ে ভর করে আল-ফতেহ এর বিপক্ষে আল-নাসর জিতেছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে।
আল নাসর প্রথম দুই ম্যাচে পয়েন্টহীন থাকলেও আল ফাতেহ এক জয় এক ড্রয়ে চার পয়েন্ট তুলেছিল। তবে শুক্রবার রাতের ম্যাচে রোনালদো-মানেদের বিপক্ষে শক্ত প্রতিরোধই গড়া হয়নি তাদের। প্রথম থেকেই বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেছে আল নাসর। এগিয়ে যাবার সুযোগ এসেছিল ২৬তম মিনিটে। গোলের খুব ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। যদিও সেটা কাজে লাগেনি। তবে পরের মিনিটেই দারুণ এক গোল পেয়ে যান মানে।
বক্সের বাইরে থেকে, ডিফেন্ডারদের বোকা বানান রোনালদো আর মানে। পরে মানের জন্য চমৎকারভাবে বল সামনে ঠেলে দেন তিনি। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষকের সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ জিতে বল জালে পাঠাতে সমস্যা হয়নি সেনেগালিজ তারকার।
গোলের জন্য রোনালদোকেও অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৩৭ মিনিটে ঠিকই গোলের দেখা পেয়ে যান তিনিও। সুলতান আল ঘাননামের বাড়ানো বল গোল পোস্টের খুব কাছ থেকে নেওয়া হেডে জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৫ মিনিটে রোনালদোকে তাঁর দ্বিতীয় গোলটি বানিয়ে দেন আবদুলরহমান ঘারিব। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ফাতেহ বক্সের দিকে শেষ মুহূর্তে বল ঠেলে দেন রোনালদোর দিকে। গোলরক্ষক ঘারিবকে আটকে সামনে চলে যাওয়ায় সহজেই বল জালে পাঠান রোনালদো।
রোনালদোকে অ্যাসিস্ট করা ঘারিব ৮১ মিনিটে আবারও হয়েছেন গোলের উৎস। এদফায় তাঁর বাড়ানো জালে স্কোরশিটে মানে।
৮৬ মিনিটে মানেকে তুলে নেওয়া হলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল শুধু রোনালদোর সামনে। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে সেটিই কাজে লাগান ৩৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। নওয়াফ বুশালের বাড়ানো বল গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে যান রোনালদো, তাতে পা ছুঁইয়ে গোল করেন রোনালদো। এটি তার ক্যারিয়ারের ৬৩তম হ্যাটট্রিক।
এদিনের পর ৩ ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আল নাসরের অবস্থান লিগের ১২ নম্বরে। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট করে তুলে এক ও দুইয়ে আছে আল ইত্তিহাদ ও আল আহলি।
জেএন/এমআর