দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ডাবের দামও। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডাবের দাম। ডাবের দামের এই ঊর্ধ্বগতির রশি টানতে ব্যবসায়ীদের কেনা-বেচার পাকা ভাউচার রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের টিসিবি ভবনে ডাবের পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ডাবের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে ডাবের যে ক্রয়-বিক্রয় হয়; তা ভাউচার আকারে করতে হবে। কত টাকা ক্রয় ও বিক্রয় হয়েছে ব্যবসায়ীদের নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তা লিপিবদ্ধ রাখতে হবে।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে এই কথাগুলো জানতে হবে। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক। এখন এটা আমরা শক্তভাবে ধরছি।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমরা ব্যবসাকে প্রমোট করছি কিন্তু যে ব্যবসায়ী অসাধু বা যে ব্যবসায়ী এসব কাজের সঙ্গে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করে যাব।
এ সময় ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় আড়াই লাখ পিস ডাব আসে ঢাকায়। কেনা মূল্য ও পরিবহন খরচসহ ডাব আড়ৎদারের ঘরে পৌঁছাতে প্রতি পিসে অন্তত ৮০ থেকে ৮৫ টাকা গুণতে হয়। পরবর্তীতে তারা খরচ ও লাভ রেখে সাইজ ভেদে পিস ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন প্রতি পিস ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত।
জেএন/এমআর