জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন’র টোকিওস্থ প্রতিনিধি নুরিইউকি হাতোরি (Noriyuki Hattori) ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিনিছি নাগাতা (Shinichi Nagata) দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সাথে ২৭ আগস্ট সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
এ সময় চিটাগাং চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), চেম্বার সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুকসহ সুমিতোমো কর্পোরেশন’র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুবুল আলম বলেন-জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু ও অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে জাপানী আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায়।
জাপানের সহযোগিতায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি দেশের অর্থনীতির গতি পরিবর্তনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলকে রিজিওনাল হাবে পরিণত করবে।
তিনি বাংলাদেশে জাপানী বিনিয়োগকারীদের এফবিসিসিআই ও চিটাগাং চেম্বারের পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
নবনির্বাচিত চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ প্রতিনিধিদলকে স্বাগতঃ জানিয়ে বলেন-বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে গভীর সমুদ্র বন্দরের কোন বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম লজিস্টিক্স হাবে পরিণত হবে।
তিনি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফেইজের কাজ দ্রুত শেষ করতে সুমিতোমো কর্পোরেশন’র প্রতিনিধিদলকে আহবান জানান।
জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন’র প্রতিনিধিরা বলেন-বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে তা বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল নির্মাণসহ প্রথম ফেইজের সুমিতোমো কর্পোরেশন’র আওতাধীন ৯৫% কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে মাতারবাড়ী বন্দর জেটিতে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টনের কয়লা পরিবহনকারী জাহাজও ভিড়েছে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফেইজের কাজ শেষ হলে এটি বাংলাদেশকে দক্ষিণ-এশিয়ার আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিতে পরিণত করবে। একই সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিনিধিদল।
জেএন/পিআর