নগরীর বন্দর থানা এলাকায় প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন মো. মিরাজ খলিফা (৩৩) নামের এক যুবক।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতার মিরাজ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানাধীন দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের মো. আবুল হোসেন খলিফার ছেলে। মিরাজ নগরীর বন্দর থানাধীন কলসীদিঘীর পাড় ইপিজেড পকেট গেট এলাকার মহসীন কলোনির ভাড়া ঘরে বসবাস করতো। মিরাজ পেশায় ভাসমান ঝালমুড়ি ও চটপটি বিক্রেতা। রোববার বিকেল ৩টার দিকে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, আট বছর বয়সী প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া মাদরাসা ছাত্রী পরিবারের সঙ্গে ইপিজেড কলসীদিঘীর পাড় পকেট গেট এলাকার মহসিন কলোনিতে বসবাস করে। পাশের বাসায় বসবাস করেন মিরাজ। তার স্ত্রী পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
রোববার বিকেলে শিশুটিকে ফুচকা দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নেন মিরাজ। এ সময় মিরাজের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। মেয়েটিকে বাসায় নিয়ে মিরাজ ধর্ষণ করেন। মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ের মিরাজের বাসার সানসেটে দেখতে পান মা। এ সময় শিশুটি কাঁপছিল। সানসেট থেকে তাকে নামিয়ে জিজ্ঞাসা করলে মিরাজ ধর্ষণ করেছে বলে বর্ণনা দেয়।
মেয়েটির মা কলোনির ইনচার্জকে জানালে অপর ভাড়াটিয়ারা মিলে মিরাজকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মিরাজকে থানায় নিয়ে যান। রাতে এ ঘটনায় মামলা করে ভিকটিমের মা।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা বলেন, রোববার বিকেলে ছাদে বালতি আনতে গেলে ফুচকা দেওয়ার কথা বলে শিশুকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির মা বিষয়টি জানতে পেরে কলোনি ইনচার্জকে জানায়। এরপর কলোনির লোকজন মিরাজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মিরাজকে আসামি করে মামলা করেন। সোমবার ওই মামলায় মিরাজকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেএন/এমআর