কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিজিবি সদস্যদের অভিযানে একটি কাঠের নৌকায় পাওয়া গেছে থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা। এসব ইয়াবা বহনের দায়ে মায়ানমারের এক নাগরিককে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ভোররাতে টেকনাফের সাবরাং সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবক হচ্ছেন, মায়ানমারের মংডু থানার মুন্নীপাড়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে মো. রফিক (২৫)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভোররাতে গোপন সূত্রে জানতে পারি সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে পরিবেশ টাওয়ার এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল উক্ত এলাকায় গমন করে নাফ নদীতে নৌ টহলরত অবস্থায় থাকে।
কিছুক্ষণ পর টহলদল তিনজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরিবেশ টাওয়ার এলাকার দিকে নাফনদীর কিনারায় আসতে দেখে।
উক্ত নৌকা থেকে একজন ব্যক্তিকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগসহ নেমে নদীর কিনারায় অপেক্ষারত একজন লোকের নিকট ব্যাগটি হস্তান্তরের সময় বিজিবি টহলদল চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়।
বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে থেকে একজন চোরাকারবারীকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয় এবং অপর তিনজন চোরাকারবারী রাতের অন্ধকারের সুযোগে নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আটককৃত চোরাকারবারীর কাছ প্রাপ্ত প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়। পলাতক চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আটককৃত কাঠের নৌকা টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করে ধৃত আসামীকে (মায়ানমার নাগরিক) ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জেএন/পিআর