নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপের এবারের আসর। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। ছয় দলের অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মেগা ফাইনালের মধ্য দিয়ে।
টুর্নামেন্টে মোট ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে পাকিস্তানের মাটিতে চারটি ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে হবে নয়টি ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ও সুপার ফোরের একটি ম্যাচ আয়োজন করবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দুই ভেন্যু মুলতান ও লাহোর এবং শ্রীলঙ্কার দুই ভেন্যু ক্যান্ডি ও কলম্বোতে সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকছে ভারত ও নেপাল। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সুপার ফোরের শীর্ষ দু’টি দল ফাইনাল খেলবে।
সাধারণত এশিয়া কাপে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় না। তবে, এক যুগের বেশি সময় পর এশিয়া কাপ আয়োজক হওয়ায় পাকিস্তান উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রেখেছে। এই অনুষ্ঠানে আজ বিকেল ৩টায় সংগীত পরিবেশন করবেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গাইবেন খ্যাতিমান পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামও। এ ছাড়া থাকছে আতশবাজি ও আয়োজক দেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আসরে সর্বোচ্চ সাতবারের জয়ী ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। আর পাকিস্তান জিতেছে মাত্র দুবার। বাংলাদেশ ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ফাইনাল খেলেছিল। তিনবারই শিরোপা জয়ের কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে টাইগারদের।
সামনে বিশ্বকাপের মতো বড় আসর থাকায় এই টুর্নামেন্ট সবগুলো দলের জন্যেই প্রস্তুতির মঞ্চ। এশিয়া কাপে এবার সবচেয়ে বড় চমক নেপাল। প্রথমবারের মতো দেশটি সুযোগ পাচ্ছে এশিয়া কাপে খেলার। এবারের এশিয়া কাপে দল ঘোষণায় সবচেয়ে সময় নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেরদিন দল ঘোষণা করেছে লঙ্কানরা।
আজ উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-নেপাল।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সাকিব আল হাসানের দলের এশিয়া কাপ মিশন। তিনবার ফাইনালে হারের হতাশা ভুলে এবার এশিয়া কাপ শিরোপা নিজেদের করে নিতে পারেন কি না সাকিব-মুশফিকরা, সেটাই দেখার বিষয়।
ভারত স্কোয়াড:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, সূর্যকুমার ইয়াদব, তিলক ভার্মা, ঈশান কিষান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর পাটেল, শার্দুল ঠাকুর, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ শামি, কুলদ্বীপ ইয়াদব, প্রসিধ কৃষ্ণা।
পাকিস্তান স্কোয়াড:
বাবর আজম (অধিনায়ক), আবদুল্লাহ শফিক, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, সলমান আলী আগা, ইফতিকার আহমেদ, মহম্মদ রিজওয়ান, মহম্মদ হারিস, শাদাব খান, মহম্মদ নওয়াজ, উসামা মীর, ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, শাহীন আফ্রিদি, সৌদ শাকিল, তৈয়ব তাহির (ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ)।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড:
দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, চারিথ আশালঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুশন হেমন্ত, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, মহেশ থিকসানা, প্রমোদ মাদুশান, কাসুন রাজিথা, বিনুরা ফার্নান্দো ও মাথিশা পাথিরানা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শেখ মাহাদি হাসান, নাইম শেখ, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব।
আফগানিস্তান স্কোয়াড:
হাশমতউল্লাহ শাহিদ (অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নয়লী জাদরান, মোহাম্মদ নবি, ইকরাম আলিখিল, করিম জানাত, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নূর আহমদ, শরিফউদ্দিন আশরাফ, ফজল হক ফারুকি, আবদুর রহমান, এস সাফি।
নেপাল স্কোয়াড:
রোহিত কুমার পাওডেল (অধিনায়ক), মোহাম্মদ আসিফ শেখ, কুশাল ভুরটেল, ললিত নারায়ণ রাজবানশি, ভিম শারকি, কুশাল মাল্লা, দিপেন্দ্রা সিং আইরে, সন্দ্বীপ লামিচানে, কারান এলসি, গুলশান কুমার ঝা, আরিফ শেখ, সোমপাল কামি, প্রাতিশ জিসি, কিশোর মাহাতো, সুন্দিপ জোরা, অর্জুন সাউদ ও শায়াম ধাকাল।
জেএন/এমআর