কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের গুলিতে গুরুতর আহত রাখাল জাফর আলম (১৭) আর বেঁচে নেই।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছেন। নিহত জাফর উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীখালি এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে।
গত শনিবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার মুচনী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পশ্চিমের পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।
নিহত রাখালের ছোট ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতদের আস্তানা দেখে ফেলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কামালের দলের সদস্যরা জাফরকে গুলি করেন।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত কিশোরের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে গরু নিয়ে পাহাড়ে যান জাফর। যেতে যেতে তিনি রোহিঙ্গা ডাকাত কামালের দলের আস্তানার কাছাকাছি পৌঁছান। এ সময় তাঁর গরু ছিনিয়ে নিতে ছয়-সাতজন চেষ্টা চালান।
একপর্যায়ে জাফরকে লক্ষ্য করে তাঁরা গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির-সংলগ্ন একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশেকুর রহমান জানান, জাফরের পেটে গুলি লেগেছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, গুলিবিদ্ধ রাখাল জাফর আলম মারা যাওয়ার খবরটি স্বজনদের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পেরেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জেএন/পিআর