বাগেরহাটের চিতলমারীতে দুই মাসে এক কলেজের অন্তত ২০ ছাত্রীর পালিয়ে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে প্রেমের মাধ্যমে এই সময়ে চিতলমারীর সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা ডিগ্রি কলেজের ২০ জন ছাত্রী পালিয়ে বিয়ে করেছে।
গত সোমবার (২৮ আগস্ট) উপজেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কলেজের অধ্যক্ষ মো. বাবুল মিঞা এ তথ্য জানান। তিনি এ জন্য স্কুল-কলেজ চলাকালে কোচিং সেন্টার চালু থাকাকে দায়ী করেছেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) কলেজের অধ্যক্ষ মো. বাবুল মিঞা বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে জুলাই ও আগস্ট মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্যাবহার করে কলেজের কমপক্ষে ১১ জন পালিয়ে বিয়ে করেছে। তবে অনেকের পরিবার তথ্য গোপন করে রেখেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ জনের মতো হবে। তবে এরা অনেকেই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল না। এদের অধিককাংশ একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এ ব্যাপারে তিনি অভিভাকদের আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন। সন্তানরা কোথায় কি করছেন সে ব্যাপারে নজরদারি করতে বলেন অধ্যক্ষ।
চিতলমারী উপজেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেদবতী মিস্ত্রী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খানসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, অনলাইন জগতে যেমন ভালো দিকে রয়েছে। তেমন খারাপ দিকও রয়েছে। স্মার্টফোন ও ফেসবুক ব্যবহারের কারণে এমনটি হচ্ছে। যা খুবই উদ্বেগের। প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আধুনিক অনুসঙ্গ মোবাইল। এর কল্যাণে আমাদের জীবন-যাপনও অনেক সহজ হয়েছে। তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও ইদানিং উন্মোচিত হচ্ছে বড় আকারে। আর তার অন্যতম একটি হচ্ছে শিশুদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি। অবশ্য এর অনেক কারণও আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, সন্তানদের বাবা-মায়ের সময় না দেওয়া। সন্তান মোবাইল কীভাবে ব্যবহার করছে সেটা অভিভাবকদের অবশ্যই জানা উচিত।
জেএন/এমআর