সবাই যা অনুমান করেছিলেন, তাই সত্য হলো দিনশেষে। উয়েফার বর্ষসেরার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করার পরেই ধারণা করা হয়েছিল আর্লিং হালান্ডের হাতেই উঠছে এই পুরস্কার। লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ জিতেছেন বটে। তবে ক্লাব অর্জনে অনেকটাই ফিকে ছিলেন। সে তুলনায় হালান্ড গেল বছর ছিলেন দুরন্ত ফর্মে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের জমকালো এক রাতে হালান্ডের হাতেই উঠলো প্রেস্টিজিয়াস এই পুরস্কার। দুদিন আগেই পিএফএ বর্ষসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এবার ইউরোপসেরার পুরস্কারটাও বুঝে পেয়েছেন। মোনাকোর গ্রিমালদি ফোরামে বৃহস্পতিবার রাতে হয়ে গেল উয়েফা বর্ষসেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠান। হলান্ডের হাতে সেরা ফুটবলারের ট্রফি তুলে দেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন।
নরওয়ের প্রথম ফুটবলার হিসাবে এই সম্মাননা পেলেন হালান্ড। গত মৌসুমের দুর্দান্ত এক যাত্রা শেষ করেছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির আকাশী নীল জার্সিতে জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের প্রেস্টিজিয়াস ট্রেবল। সিটির সাফল্যে হলান্ডের সতীর্থ ডি ব্রুইনাও আলো ছড়িয়েছেন। আর মেসি ইউরোপ অধ্যায় শেষ করেছেন পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ান শিরোপা জিতে।
তবে সবকিছুর ওপরে সিটির ট্রেবল জয়টাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আর সেখানে সতীর্থ ডি ব্রুইনাকে সরিয়ে হালান্ডই জিতেছেন সেরার পুরস্কার।
এবারের সেরা নারী খেলোয়াড় হয়েছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি। ২৫ বছর বয়সী বোনমাতি এ বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন। তাই তার হাতেই উঠেছে পুরস্কার।
বর্ষসেরা পুরুষ কোচ হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল এনে দেওয়া পেপ গার্দিওলা। আর বর্ষসেরা নারী কোচের স্বীকৃতি ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের সারিনা ওয়েগমান। এ ছাড়া আজীবন সম্মাননার উয়েফা প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা।
একনজরে উয়েফার পুরস্কার-
বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার: আর্লিং হলান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ে)
বর্ষসেরা নারী ফুটবলার: আইতানা বোনমাতি (বার্সেলোনা ও স্পেন)
বর্ষসেরা পুরুষ কোচ: পেপ গার্দিওলা (ম্যানচেস্টার সিটি)
বর্ষসেরা নারী কোচ: সারিনা ওয়েগমান (ইংল্যান্ড)
উয়েফা প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড: মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি)
জেএন/এমআর