আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অল্প সময় পেয়েছিলাম, তখন বাংলাদেশের অনেক উন্নতি করেছি। ওই সময় খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। বলেছিল, ছাত্রদলই নাকি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট। আর সেখানে আমি ছাত্রলীগের হাতে দিয়েছিলাম খাতা এবং কলম। বলেছিলাম, পড়াশোনা করতে হবে। লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ না হলে, কোনো আদর্শ বাস্তবায়ন করা যায় না। আর অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ পড়লে, সেই দেশের কোনোদিন অগ্রযাত্রা হতে পারে না।
শুক্রবার (১সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশকে কী দিয়েছে? যে জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করে, বিজয়ী জাতি, সেই বিজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল, জয় বাংলা স্লোগান, যে স্লোগান দিয়েছে লাখো মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, সেই স্লোগান নিষিদ্ধ, বাংলাদেশের নাম, রেডিওর নাম, বিভিন্ন নাম পরিবর্তন করে। যাদের আমরা পরাজিত করেছিলাম, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল সেই খুনি মোশতাক, জিয়া। আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকেই ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা।
তিনি আরও বলেন, আজকে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা নাকি মানবাধিকারের কথা বলে। ১৫ আগস্ট যখন আমার মা বাবা ভাই সব হারালাম, আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না? আমারও তো বিচার চাইতে পারিনি। ৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক বাধা অতিক্রম করে ফিরে এসেছিলাম। এক রকম জোর করেই দেশে এসেছিলাম।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করব। যেই চেতনা নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সারা জীবন কষ্ট সহ্য করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করব। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশে ফিরেছিলাম। তারপর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্রসমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।
জেএন/এমআর