চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিজ শয়নক্ষ থেকে মোহাম্মদ বাদশা (৫৬) নামে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তারই ছেলে এনামুল হক (২০)। বকাঝকা ও কাজের চাপ দেওয়ার কারণে পিতাকে দায়ের তিন কোপে মৃত্যু নিশ্চিত করে এনামুল।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলে এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। নিহত মো. বাদশা সওদাগর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পুঁইছড়ি মাইজপাড়ার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
তিনি স্থানীয় শাহাদাত মার্কেটের বাদশা ডেকোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। বাদশা ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে সন্তানের জনক। ঘাতক এনাম ব্যবসায়ী বাদশার চার ছেলের মধ্যে ছোট। সে তার বাবার সঙ্গে ডেকোরেশন ব্যবসায় সহযোগিতা করত।
এর আগে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি মাইজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে ওই ডেকোরেটর ব্যবসায়ী বাদশার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু হালদার বলেন, শুক্রবার ভোরে ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ভুক্তভোগীর ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এনাম জানায়, তাঁর বাবাকে তিন কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে দা থেকে রক্ত মুছে রান্না ঘরে রেখে আসে। এরপর তাঁর রুমে ঘুমাতে চলে যায়।
হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে এনাম জানায়, সে একটি মেয়েকে ভালবাসে। তাকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষণ করে তার বাবা বাদশাকে জানায়। রাজি না হয়ে উল্টো তাকে বকাঝকা করেন বাদশা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় এনামুল।
রাত ৩টা ২০ মিনিটে এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে ছেলে এনামুল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যবসায়ী বাদশার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশটি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেএন/পিআর