জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিসুর রহমান। তবে ঠিক কত তারিখে ভোট নেওয়া হবে সেই তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরুর দিন এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আজ থেকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছে,চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ইসির প্রশিক্ষিত সাড়ে তিন হাজার এক্সপার্ট মাঠ পর্যায়ের প্রায় ৯ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিবেন।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদ বহাল রেখে আগামী নির্বাচন করতে হলে, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে আগের ৯০ দিনের মধ্যে তা করতে হবে। অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে।
সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুরুর দিন ইসি আনিছুর বলেন, ২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে ভোটের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘জনগণ নিজের ভোট দিতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। বিশ্বাসযোগ্য করতে শুধু সুষ্ঠু নয়, অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে হবে। জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলেই ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হবে।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট সুষ্ঠু করার জন্য আইনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কেউ যাতে বাধা না দেয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান সিইসি।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আইনের মধ্যে থাকলেই সুষ্ঠু এবং ঝুঁকিমুক্ত ভোট করা সম্ভব। শতভাগ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতিকে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।
আরেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব বলেন, কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ- এই বাক্য মনে রেখে ভোটের মাঠে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জেএন/পিআর