মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী দমন অভিযানের বার্ষিকী পালন করবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
বিশ্বব্যাপী সমালোচিত ওই দমন অভিযান শুরুর পর প্রায় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ও ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স এ অনুষ্ঠানে মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস বক্তব্য দেবেন বলেও জানিয়েছেন।
মিয়ানমার বাহিনীর দমন অভিযানকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।
পিয়ার্স বলেন, ২৮ আগস্ট জাতিসংঘের ওই অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর নিঃশর্ত প্রবেশের সুযোগদানের দাবি তুলবে ব্রিটেন। তারা যাতে শরণার্থীদের নিরাপদ ও সম্মানজক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে, এ দাবিও তোলা হবে নতুন করে। তিনি বলেন, এটা অনেক বড় একটা ইস্যু। রোহিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার সঙ্গে তাদের বসবাস ও জীবিকার বিষয়টিও জড়িত।
কারেন পিয়ার্স জানান, আরও দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ যা ঘটেছে তার জন্য জবাবদিহিতা ও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয় নিয়েও কথা বলা হবে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার গত চার দশক ধরে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার দেয়নি মিয়ানমার। ২০১৭ সালের বৃহদাকারে রোহিঙ্গা দমন শুরুর আগে ২০১২-২০১৫ সালেও অন্তত দুই লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এরপর গত বছর আগস্টে কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়িতে আরএসও’র হামলার ধুয়ো তুলে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর সঙ্গে যোগ দেয় রাখাইনের উগ্রপন্থি বৌদ্ধরা। তার পরপরই জঙ্গি দমনের নামে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের অভিযান শুরু করে মিয়ানমার বাহিনী।
জয়নিউজবিডি/আরসি