দেশে এখন যত মোটরযান আছে তার চেয়ে প্রায় দুই লাখ বেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ১৯৭টি। আর ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৩টি।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
এম আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনালাইজ ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) অনুযায়ী পরিবহন খাত হতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণ শর্তহীনভাবে হ্রাস করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ওই সময়ের মধ্যে সড়ক পরিবহন খাতে ব্যবহৃত যানবাহনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ মোটরযান ইলেকট্রিক ক্যাটাগরিতে রূপান্তর করা প্রয়োজন।
বৈদ্যুতিক যান প্রচলন ও পরিচালনার সঙ্গে বিদ্যুৎ খাত সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বৈদ্যুতিক যানের ব্যবহার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ডিজেল চালিত বাস দিয়ে বিআরটি অপারেশন শুরু হলেও কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সর্বাধিক বিদ্যুৎ চালিত বাসের সংগ্রহের মাধ্যমে বিআরটি পরিচালনা করা হবে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, জনপথ অধিদপ্তরের মোট সড়কের সংখ্যা ৯৯২টি। এর মোট দৈর্ঘ্য ২২ হাজার ৪৭৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার।
জেএন/এমআর