জাতীয় লজিস্টিক্স উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটি কর্তৃক জাতীয় লজিস্টিক্স পলিসি তৈরিতে সাচিবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আজ ৫ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক শাহিদা সুলতানা দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকম-লী এবং লজিস্টিক খাতের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুবের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রাইভেট সেক্টর বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ লুৎফুল্লাহ, চেম্বার পরিচালক একেএম আক্তার হোসেন, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, নবনির্বাচিত পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও ওমর মুক্তাদির, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, চৌধুরী গ্রুপের শাহেদ সরোয়ার, এপিএল লজিস্টিক্সের মোহাম্মদ এনামুল হক ও সীল্যান্ডের মাহমুদুল করিম চৌধুরী। এছাড়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আমিনুর রহমান, চেম্বার পরিচালক মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, নবনির্বাচিত পরিচালক মাহবুবুল হক ও মোহাম্মদ আকতার পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক শাহিদা সুলতানা বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং সরকারের আন্তরিকতায় জাতীয় লজিস্টিক পলিসি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধিদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সাব-কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তাই পলিসি প্রণয়নের পূর্বে স্টেকহোল্ডারদের মতামত জানতে এসেছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে এ সংক্রান্ত আগের বিভিন্ন পলিসিগুলো যৌক্তিকীকরণ করে ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি প্রণয়ন করা হবে। খসড়া পলিসি প্রণয়নের পরও আপনাদের কাছ থেকে মতামত নেয়া হবে, যাতে করে একটি বাস্তবমুখী লজিস্টিক্স পলিসি প্রণীত হয়। এছাড়াও বন্দর কাস্টমস এবং লজিস্টিক্স সেক্টরের লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে নীতি প্রণয়নের আশ্বাস দেন শাহিদা সুলতানা।
চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, কানেক্টিভিটির কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাসড়কগুলোতে পরিবহনের চাপ বাড়বে। তাই চট্টগ্রাম থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চল এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হলে শুধুমাত্র সড়কপথের ওপর নির্ভর না করে আনুপাতিকহারে সড়ক, নৌ, রেল এবং আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতিফলন জাতীয় লজিস্টিক্স পলিসিতে থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, লজিস্টিক্স সেক্টরে বিভিন্ন খাত-উপখাতে ৭০-৮০ টি পলিসি রয়েছে। এই পলিসিগুলো যৌক্তিকীকরণ করে ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানিয়ে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেলের বৈষম্য নিরসনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, সারাদেশে অভিন্ন শুল্কায়নের কথা থাকলেও চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে এর ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। বক্তারা আমদানিকৃত মেশিনারিজ ও পণ্যের শুল্কায়ন, খাদ্যপণ্যের টেস্টিং নিয়ে জটিলতা, এইচএস কোড জটিলতা, আইসিডির সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে দেশীয় অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থাপনার নিশ্চিতে সড়ক প্রশস্তকরণ, রেলযোগাযোগ তৈরি ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেন এবং এ সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহের ওপর বিশেষ দৃষ্টিপাত করে জাতীয় লজিস্টিক্স পলিসি প্রণয়নের আহবান জানান।
জেএন/এমআর