চট্টগ্রামে ২টি পৃথক অর্থ ঋণ মামলায় ৫ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন অর্থঋণ আদালত।
একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় স্বামী-স্ত্রী ছেলেসহ এ ৫ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দুটি দায়ের করেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিঃ এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
ঋণখেলাপি ৫ ব্যবসায়ীরা হলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এক্সিমকে এর মালিক নগরীর সাউথ খুলশী এলাকার ব্যবসায়ী কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, তার স্ত্রী মিসেস শাম্মী কবির এবং মোহরা এলাকার শামসু স’মিলের মালিক ব্যবসায়ী শামসুল আলম, তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও পুত্র মিজানুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় দাবি করা ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৮৮৭ টাকা ঋণের বিপরীতে ব্যবসায়ী কবির উদ্দিন ভূঁইয়া এবং তার স্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি জামানত না থাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের আবেদনক্রমে ২০২৩ সালের গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাদের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
একই দিনে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দায়েরকৃত মামলায় দাবিকৃত ৬৬ কোটি টাকার বিপরীতে বন্ধককৃত সম্পত্তি বিবাদীগণ হস্তান্তর করে দেওয়ায় এবং বিপুল পরিমাণ দায় পরিশোধ না করে দেশত্যাগের প্রচেষ্টা চালানোর কারণে বাদী ব্যাংক শামসুল আলম এবং তার স্ত্রী পুত্রের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের আবেদন করে।
এ সময় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান চলতি বছরের আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পাসপোর্টসহ বিবাদীদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি আদালতের অনুমতি ছাড়া বিবাদীগণ যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) নির্দেশ দেন।
জেএন/পিআর