রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

- Advertisement -

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ারমারের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার অভাব সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। খবর-রয়টার্স

- Advertisement -google news follower

মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া প্রেসিডেন্ট ও আসিয়ানের চেয়ার জোকো উইদোদোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

- Advertisement -islamibank

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়াকে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক মহল। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়ে বড় আকারে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অংশ নেয় তারা। জাতিসংঘ সত্যতা যাচাই কমিশন গঠনের মাধ্যমে রাখাইনে মিয়ানমার বাহিনীর গণহত্যা ও গণ নিষ্ঠুরতার প্রমাণ পায়। পশ্চিমা বিশ্ব রোহিঙ্গা গণহত্যার নিন্দা জানায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট মনোযোগ হারাতে থাকে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৭ সালের পর থেকে প্রতিবছরই রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার পরিমাণ কমছে। ২০২১ সালে ৯৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ অর্জিত হয়। ২০২০ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিংসঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ৮৭ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার তহবিলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি মেলে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের। এর আগের বছর ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংকট মোকাবিলায় ৯২ কোটি ডলারের চাহিদা ছিল। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয় ৬২ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০১৯ সালে মোট চাহিদার ৬৭ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট সত্তরের দশক থেকেই চলে আসছে। ১৯৭৭ সালে, ১৯৯২ সালে, ১৯৯৯ সালে দফায় দফায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমার বাহিনীর নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তবে রোহিঙ্গা সংকট সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় ২০১৭ সালে। ওই বছর আগস্ট মাসে মিয়ানমারে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার বাহিনী জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু করলে দলে দলে রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। মাত্র তিন মাসে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর সঙ্গে আগে থেকেই ক্যাম্পে থাকা প্রায় সাড়ে তিন লাখ মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় এগারো লাখ।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM