সীতাকুণ্ডে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে সেচ্ছায় হাসপাতালে যাওয়া বানরটি শেষ পর্যন্ত মারা গেছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি হাসপাতালে বানরটি মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য।
গত কিছুদিন আগে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে বানরটি। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। মানুষের দেওয়া খাদ্য খেয়ে সে আর পাহাড়ে যেতে চায় না। হঠাৎ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বানরটি গুরুতর আহত হয়। বানরটি উপজেলা কলেজ রোড এলাকায় আহত হলেও ওই স্থান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের আশপাশে অসহায়ের মতো ঘুরছিল বানরটি। প্রথমদিন বানরের এই অবস্থা দেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ। এভাবে বানরটি পর পর তিন হাসপাতালে ড্রেসিং করাতে ছুটে আসে। পাহাড়ি বানর নিজে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসে এমন অবাক করা খবরটি দেশের সব টিভি ও সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনদিন চিকিৎসা দেওয়ার পর শরীরের কয়েকটি স্থানে পচন ধরায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বানরটিকে চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসার পর শুক্রবার দুপুরে বানরটি মারা যায।
জেএন/এমআর