চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে বসে যাওয়ার সময় ভেঙ্গে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় চবির ১৬ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর ট্রেনের লোকোমাস্টারকে লঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর জেরে দুই দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে রেলওয়ে। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ট্রেন না চালানোর কথা জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর আমাদের দুই লোকমাস্টারকে (এলএম) লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
যেহেতু তাদের নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে তাই আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে। তারা যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে তাহলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে বসে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙ্গে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৬ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জেরে ওইদিন শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছালে লোকমাস্টারদের লাঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন এলাকার স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি।
ট্রেনের লোকমাস্টারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গত দুইদিন বন্ধ রয়েছে এ রুটে ট্রেন চলাচল। বিষয়টির সমাধান না হলে রোববারও ট্রেন চলাচল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
তবে এর আগে দুর্ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, শাটলের ব্যাপারে আমরা রেলওয়েকে বলতে বলতে শেষ। এমনকি রেলওয়ে মন্ত্রী গতবছর বলেছিলেন নতুন ট্রেন দিবেন। কিন্তু আমরা পাইনি। তারা বলেছে- তারা চেষ্টা করছে।
জেএন/এমআর