আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তাদের মিত্রদের নিয়ে দেশে আবার মানুষ পোড়াতে চায়, গাড়ি ভাঙচুর করতে চায়, এজন্য তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলছে। তারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে চায়। সে কারণে আমরা সরকারি দল শান্তি সমাবেশ করছি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলে আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিএনপি) ১০ ডিসেম্বর বলেছিল শেখ হাসিনার দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। সেদিন থেকে নাকি বিএনপি দেশ শাসন করবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হাট ভেঙে গেছে, ফখরুলদের দম ফুরিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বললেন সরকার নাকি তাকে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু যদি কেউ অপরাধ না করে তাহলে কেন সে গ্রেপ্তার হওয়ার কথা বলবে। আসলে তার মনে পুলিশ পুলিশ। নিশ্চয়ই তিনি কোনো ষড়যন্ত্র বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নোবেল পেলে কেউ আইনের আওতায় আসবেন না এমন কোনো নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। তিনি শ্রমিকদের পাওনা দেননি। সে কারণে তিনি আইনের আওতায় আসবেন। পৃথিবীর সব দেশে শ্রমিকদের জন্য আইন রয়েছে, আমাদের দেশেও আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের ওপর ভর করে। না জানি বিএনপি কখন কবিরাজদের দারস্থ হয়। সেটার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কে বলবো, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান। তাহলে বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ কীভাবে বদলে গেছে। এগুলো দেখে পাকিস্তানের গা জ্বলে। তাদের দোসর বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তারা বুঝে গেছে তারা জনগণের কাছে কি মুখে ভোট চাইবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আগামী নির্বাচন মানুষ ভোট দিয়ে চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে আবারো বিজয়ী করবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, উপত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুক ইসলাম আমিনসহ মহানগর ও এর অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর