গেল বছরের ৩১ জানুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছিলেন এস.এম মঈন উদ্দিন প্রকাশ তন্ময় নামে এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের ১৯ মাস পর আজ রায় ঘোষণা করেছে আদালত। তন্ময়কে হত্যার দায়ে নিহার রিছিল (৫১) নামে এক বাবুর্চিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর জেলা ও দায়রা জজ ড.বেগম জেবুন্ নেছার আদালত বাবুর্চি নিহারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্ত নিহার শেরপুর জেলার নলিতা থানার মায়াখাসী গ্রামের খরিপ সাংমার ছেলে।
রাষ্ট্র পক্ষের কৌশলী এক আইনজীবি বলেন, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি হত্যকান্ড সংঘঠিত হওয়ার পর নিহার রিছিলকে আসামি করে মামলা হয়।
২০২২ সালের ২৯ জুন এ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন পুলিশ। একই বছরের ৯ নভেম্বর আসামি বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
মামলায় ১৪ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত নিহারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা মূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজারের একটি অফিসে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এস.এম মঈন উদ্দিনের সাথে বাবুর্চি নিহার রিছিলের দ্বন্ধ হয়।
এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে মঈন উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে নিহার। পরর গুরুতর আহত অবস্থায় মঈন উদ্দিনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই অফিসের ম্যানেজার।কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এই ঘটনায় নিহত এস.এম মঈন উদ্দিনের ছোট ভাই এস.এম আমিন উদ্দিন বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ নিহার রিছিলকে গ্রেফতার করে।
জেএন/পিআর