ভেজাল সয়াবিন তেলে বিভিন্ন অননুমোদিত ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করার সময় মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৬৬১ লিটার ভেজাল সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তেলের আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ মুছার ছেলে মো. আলমগীর (৩৬), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার লিটনের ছেলে সাইফুল ইসলাম হৃদয় (১৮) ও বায়েজিদের অক্সিজেন এলাকার মৃত মো. সায়েদের মো. শাকিল (১৮)।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কর্ণফুলী থানাধীন কালারপোল স্কুলের পূর্ব পাশে একটি মার্কেটের গোডাউন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার জানান, কর্ণফুলীর কালারপোল স্কুলের পূর্ব পাশে একটি মার্কেটের গোডাউনের ভেতরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন ভেজাল সয়াবিন তেল সংগ্রহ করে বাজারজাত করার জন্য সংরক্ষণ করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে মূলহোতা আলমগরীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৬৬১ লিটার ভেজাল সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা তেলের আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, বাইরে খোলা বাজার থেকে সয়াবিন সংগ্রহ করে ওই তেলে ভেজাল অস্বাস্থ্যকর উপাদান মিশিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১৮৫ লিটারের বড় ড্রামে সংরক্ষণ করে। ওই বড় ড্রামে থেকে ৫, ২, ১ লিটার, ৯০০ এমএল ও ৫০০ এমএল প্লাস্টিকের বোতলে ঢেলে বোতলের গায়ে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত লোগোযুক্ত ফর্টিফাইড সয়াবিন তেলের লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করার জন্য গোডাউনে সংরক্ষণ করে এবং বিক্রি করছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এমআর