দীর্ঘদিন ধরে চলমান ডিমের দামে উদ্ধগতি ঠেকাতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি পিস ১২ টাকা এবং এক হালি ডিম কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হবে ৪৮ টাকা।
একই সঙ্গে ডিম আমদানির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ডিম প্রথমে অল্প পরিমাণে আমদানি করা হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান ডিম আমদানির আবেদন করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী তিন কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা।
আলু দাম কেজিতে হবে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫/৩৬ টাকা ও কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৬/২৭ টাকা। ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি পিস ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বোতল ও প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা লিটার, খোলা তেল ১৪৯ টাকা, পাম ওয়েল ১২৪ টাকা, চিনি খোলা ১২০ ও প্যাকেট ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার ও স্থানীয় পর্যায়ে ডিসি ও ইউএনও বাজার মনিটরিং করবে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নিলে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
টিপু মুনশি আরও জানান, ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। গড়ে ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠানো হতে পারে। আবেদন করা হয়েছে ২৯শ টন।
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর