সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূলের ২নং সমাজের বড়ইতলা এলাকায় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে ১নং খাস খতিয়ানের বিএস ৩৬০ এবং ৩৬১ দাগের ১০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ থেকে বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম রফিকুল ইসলামের নেতৃত্ব চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৫ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।
উদ্ধারকৃত জায়গায় প্রস্তাবিত হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল তৈরী করা হবে।
জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ি খাস জায়গাগুলোতে বহু বছর ধরে দখল করে শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন। অভিযানে দোকান, ঘর, বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় ওখানকার বসবাসরতরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকই অভিযোগ করে বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩০-৪০ বছর যাবত এই জায়গায় বসবাস করছি। কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।
নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূলের ২নং সমাজের বড়ইতলা এলাকায় ৩৬০ ও ৩৬১ দাগের খাস জায়গাগুলোতে দীর্ঘদিন কিছু মানুষ অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরী করে বসবাস করছে। তাদেরকে প্রায় ১ মাস আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়। এসব খাস জমি কেটে একদল ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী অবৈধ বসতি স্থাপন করেছে। এখানে আর কোনও অবৈধ স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না।’ তবে বৈধভাবে থাকা কেউ যদি উচ্ছেদ হয় তার তালিকা করে তাদের পুর্নবাসন করা হবে।
তিনি বলেন, পুরো ‘জঙ্গল সলিমপুরকে ঘিরে সরকার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেটুকু পাহাড় কাটা হয়েছে সেটুকুতেই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বাকি পাহাড়ের পরিবেশ-প্রতিবেশ অক্ষুণ্ন রাখা হবে।’
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা, মোঃ রাজিব হোসেন, এসএমএন জামিউল হিকমা, রাকিবুল ইসলাম এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দিন।
অভিযানে শতাধিক পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস টিম, বিদ্যুৎ বিভাগের টিম উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর