আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে তার উপযুক্ত জনশক্তি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদ্দিন হল ডিবেটিং ক্লাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ও পরামর্শে প্রযুক্তির উদ্ভাবনী সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এই সুযোগ গ্রহণ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই প্রজন্মকে প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছেন। এই কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের লোক দরকার। সেখানে পরিচালনা থেকে শুরু করে শ্রমিক সব ক্ষেত্রেই আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। আন্তর্জাতিকভাবেও বহু দেশ দক্ষ জনশক্তি চায়। সেভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
কাজেই সেভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট সোনার বাংলা করতে পারি, সেই কারিগর হিসেবে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে গড়ে তুলবে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা সব সময়ই সবচেয়ে বেশি আস্থা রেখেছেন তরুণ প্রজন্মের উপর।
জাতির পিতার কন্যা বিশ্বাস করেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের জন্য এখন সব নির্ভর করছে আমাদের ইয়াং জেনারেশন ও যুব সমাজের ওপর। তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের উন্নতি- এটাই ছিল আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার। সেই কাজ এখনো ব্যাপক পরিসরে চলমান।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতামলে এক প্রকার দুর্নীতিগ্রস্থ, সন্ত্রাসের আঁতুরঘরে পরিণত হওয়া অসম্ভবের বাংলাদেশকে সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এ রূপান্তরিত করাটা যেমন একটি সচেতন ও স্বাধীনতাকামী মানুষদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়ার সম্মিলিত সাহসী প্রচেষ্টার ফলাফল; তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনও একটি চলমান প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে অপেক্ষমান অর্জন।
একটি প্রজন্মকে বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে মনস্তাত্ত্বিক ও হৃদয় দিয়ে দেশপ্রেমের দিকে উদ্ভুদ্ধ করতে পারলে এই লক্ষ্য অর্জনের দুঃসাহসী ও বৈপ্লবিক পরিকল্পনা সফল হতে খুব স্বল্প সময়ের প্রয়োজন হবে।
ভবিষ্যতের জন্য টেকসই জাতি ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কন্যার কোনও বিকল্প বর্তমানে বাংলাদেশে নেই।
ভবিষ্যত বাংলাদেশকে জানতে হলে ডিবেটিংয়ের বিকল্প নেই জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, বির্তক প্রতিযোগীতার মাধ্যমে নিজের মেধাকে যাচাই করার সুযোগ থাকে। দেশ-বিদেশ সর্ম্পকে আরো ব্যাপক জানা যায়। প্রযুক্তির সঙ্গে প্রতিযোগীতায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারণ আজকের শিক্ষার্থীই আগামী দিনের বাংলাদেশের হাল ধরবে।
কবি জসিম উদ্দিন হলের সভাপতি এসএম ফরহাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পিএসসির সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপচার্য মাহবুবা নাসরিন, জসিমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, গবেষক সেলিম মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।
এতে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ টি দল অংশগ্রহণ করেন।
জেএন/পিআর