আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে ভোট চেয়ে সমালোচিত হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইমরান আহমেদকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পৃথক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মো. শফিউর রহমানকে জামালপুরের ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভার নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইমরান আহমেদ বলেছিলেন, এ সরকার যে উন্নয়ন করেছে সেটির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এই সরকারকে আবার নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে। এটা হবে আমাদের প্রত্যেকের অঙ্গীকার।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, যোগদানের সময় আমি শুনেছি আমার নিজ জেলা খুলনা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে একটা অনুন্নত জেলায় যাচ্ছি। কিন্তু যোগদানের পরে এসে আমি দেখলাম যে এই অনুন্নত জেলা পরিবর্তন করে দিয়েছে আমাদের আজকের প্রিয় প্রধান অতিথি (সংসদ সদস্য মির্জা আজম)। এটাকে আধুনিক উন্নত জেলায় রূপান্তরিত করেছেন উনার দীর্ঘ কর্মজীবনে। আমরা তার জন্য একটা করতালি দিতে পারি। আমি আসলে এই জেলা নিয়ে স্টাডি (অধ্যয়ন) করে দেখেছি, এই জেলায় এক সময়ে যমুনা, বহ্মপুত্র, ঝিনাই নদী কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করা যেত না। এ জেলা বন্যা ও নদী ভাঙন এবং দেশের তৃতীয় দরিদ্রতম জেলা হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে একজন মানুষ তার এক জীবনে দীর্ঘ অক্লান্ত পরিশ্রমে এ জায়গাকে পরিবর্তন করেছেন। তাকে কাছে থেকে না দেখলে ও জেলায় না আসলে বুঝতে পারতাম না। আপনাদের সৌভাগ্য আপনারা এমন একটা নেতা পেয়েছেন।
তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তার এমন বক্তব্য ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন। বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জেরে অবশেষে তাকে সরিয়ে দিল সরকার।
জেএন/এমআর