ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মাসেতু পার হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত গতি পরীক্ষা করার জন্য একটি ট্রেন চারবার আপ-ডাউন করেছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ৬০ কিলোমিটার থেকে চূড়ান্ত পর্বে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চালিয়ে রেললাইন পরীক্ষা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করা হয়েছিল।
সেদিন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার দু’দিন চারবার করে মোট আটবার ট্রেনটি পরীক্ষামূলক চলাচল করবে। এই পরীক্ষামূলক যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ বিষয়ে পদ্মা রেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সহকারী প্রকৌশলী মো. শাদমান শাহরিয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় আন্তঃনগর ট্রেন ৬০ কিলোমিটার বেগে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
আবার সেই ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টার সময় মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ৮০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়। এরপর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া উদ্দেশ্যে ১০০ কিলোমিটার বেগে ছেড়ে যায়। আবার মাওয়া থেকে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেনটি ট্রায়াল রান করানো হয়। প্রথমে ঘণ্টায় ৬০, তারপর ৮০, তারপর ১০০ ও সর্বশেষ ১২০ কিলোমিটার গতিতে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রায়াল রান করানো হলো।
পরপর দু’দিন এভাবে চালানো হবে। সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পের সকল প্রকৌশলীরা ট্রেন চলাচল পর্যবেক্ষণ করছেন।
তিনি আরো জানান, আমরা শনিবার একইভাবে চারবার পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে ভাঙ্গা-মাওয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালাবো। শুক্রবার ও শনিবার পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা রেলস্টেশনে এসে ট্রেনটি পৌঁছায়।
জেএন/এমআর