প্রচণ্ড গরমে রেলপথ বাকলিং হয়ে পড়েছে। ফলে শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিট সংলগ্ন সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন যেতে না পেরে প্রায় ২০ মিনিট আটকা পড়ে। খবর পেয়ে রেলপথ কর্মচারী ও ট্রেনের কর্মচারীদের মাধ্যমে পানি, বালি ও কাঁদা ফেলে ট্রেন ছেড়ে যেতে সক্ষম হয়।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে ৩টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত ট্রেন আটকা পড়ে।
জানা যায়, রোববার প্রচণ্ড গরমের কারণে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠে। দিনভর প্রচণ্ড রোদ ও গরমের কারণে রেললাইন আঁকা-বাঁকা হয়ে পড়ে। আঁকা-বাঁকা হওয়া লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। ৭১৯ নম্বর সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন রোববার বিকাল ২টা ৪৭ মিনিটে শমশেরনগর স্টেশন ছেড়ে যায়। রেলস্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে যেতে ৭ মিনিট সময় লাগে। শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিটের রেলগেট এলাকায় যাওয়ার পর ট্রেনের গতি হ্রাস পায় এবং একপর্যায়ে ট্রেন আটকা পড়ে। এ সময়ে ট্রেনের কর্মচারী নেমে ও খবর পেয়ে রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণকারী শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে প্রায় ২০ মিনিট সময় ধরে পানি, বালি ও কাঁদা রেললাইনে ছিটিয়ে দেন। পরে লাইন ঠান্ডা হওয়ার পর ৩.১৪ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে যায়।
রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণকারী মিস্ত্রি রিপন মিয়া বলেন, গরমে হিট হয়ে রেল লাইন বেঁকে গেছে। আমরা খবর পেয়ে পানি, বালি ও কাঁদা ছিটিয়ে দেই।
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার উত্তম দেব বলেন, সাধারণত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপরে থাকলে অনেক সময় রেলপথ বাকলিং হয়ে পড়ে। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে রেলগেট এলাকায়ও রেলপথের কিছু লাইন বাকলিং হওয়ায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস আটকা পড়ে।
জেএন/এমআর