উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (বঙ্গবন্ধু টানেল)। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হবে এটি। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে টানেল এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। টানেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য সচিব বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।
ইতোমধ্যে দুটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের কাজ হয়ে গেছে। পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশও টানেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিডিএ একটি প্রকল্প নিয়েছে। শিগগিরই সেটার কাজ শুরু হবে। নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার, সবটুকুই আমরা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই টানেল শুধু দু’পাড়কেই সংযুক্ত করবে না, ওয়ান সিটি টু টাউনও বাস্তবায়ন হয়েছে। আরেকটি বিষয়, আমরা একে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ প্রান্তে এক জনসভায় বক্তব্য দেবেন বলেও জানান তিনি।’
এ সময় সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ছিলেন।
প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। চীনা কোম্পানি ‘চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’ এ প্রকল্পের কাজ করেন। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হারে সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। বাকি অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার।