বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার জেলহত্যা মামলার সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত কমডোর গোলাম রাব্বানী হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের পুনঃবিচারে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলম রায় এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার দাশ বলেন, আসামি সাইফুল ইসলামকে ২০০৫ সালে দেওয়া রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছিল।
কমডোর গোলাম রাব্বানী ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ২৪ এপ্রিল মারা যান। চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম রাব্বানী সেসময় কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (কেইপিজেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনায় কেইপিজেডের সাবেক পরিচালক আবু নাসের চৌধুরী ও কর্মচারী হুমায়ুন কবির চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে পাঁচলাইশ থানায় ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল কেইপিজেডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এমতাজুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ২৮ আগস্ট আবু নাসের চৌধুরী, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, মনছুর আলম, মো. সেলিম, সোহেল প্রকাশ আবদুল মালেক ও মো. হাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি সাইফুল ইসলাম ও মনছুর আলমকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন আদালত।
এরপর বাদীপক্ষ নিম্ন আদালতের রায়ের পর মামলার হাইকোর্টে দুই আসামি আবু নাসের ও হুমায়ুন কবিরের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে এবং আসামি সাইফুলের খালাসের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট আসামি আবু নাসের চৌধুরী ও হুমায়ুন কবির চৌধুরীর সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া খালাস পাওয়া আসামি মো. সাইফুল ইসলামের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট ‘আসামি সাইফুলের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষ্য বিচারিক আদালতে নেওয়া হয়েছিল সেগুলো যথাযথভাবে পর্যালোচনা ছাড়াই রায় দেওয়া হয়েছিল। ফলে আসামি বিচারে খালাস পেয়েছিলেন।’ পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে নতুন করে রায় দিতে বিচারিক আদালতে নথি ফেরত পাঠানো হয় হাইকোর্ট থেকে।
গত বুধবার জামিনে থাকা সাইফুলকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তার সামনেই রায় ঘোষণা হয়।
জেএন/এফও/এমআর