ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ও আমিষ সরবরাহে ইলিশের গুরুত্ব অপরিসীম।
উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে ইলিশ। প্রায় ৫.০ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
বিশ্বে ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সারা বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশ আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী থেকে।
তবে সময়ের সাথে সাথে এসব যেন অতিত ও স্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, ইলিশ এখন দেশের মানুষের হাতের নাগালের বাইরে।
দেশের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে যতটুকু মাছ পাওয়া যায় তার বেশির ভাগ অংশ কোন না কোন উপায়ে চলে যায় দেশের বাইরে। আর যা অবশিষ্ট থাকে তাও নানান ছলে দাম হাঁকাতে ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেন ব্যবসায়ীরা।
তারই একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো মাছের মাথার উপরিভাগের সাথে লেজের গোড়ায় টান টান করে বেঁধে বিক্রি করা। কিন্তু কেন এভাবে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হয়? কথা হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে।
কেউ কেউ বলছেন, ইংলিশ মাছ এইভাবে বেঁধে রাখলে এই মাছের পেটে ডিম আছে কি না তা বুঝা যায়।
কেউ বলেছেন, মাছ বড় ও মোটা দেখায়। গোল ও মোটা লাগায় দাম বেশি নিতে পারে।
যেসব জায়গায় বরফ সংকট সেখানে মাছ তাজা রাখতে বিক্রেতারা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে।
আবার কারো কারো মন্তব্য ইলিশ মাছ টাইট, এক সাইজ ও সুন্দর দেখায়। ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং এভাবে বেধে রাখার কারণ হলো মাছের আঁশ গুলো টানটান হয়ে চকচকে সাদা তাজা ইলিশ মনে করানো।
এটা ব্যবসায়ীদের কৌশল। এভাবে রাখলে মাছ দেখতে বাহ্যিকভাবে বড় মনে হয়।
জেএন/পিআর