আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। ভিসানীতি একটি বিচ্ছিন্ন বিষয়। তারা কাকে ভিসা দেবে না দেবে সেটা তাদের ব্যাপার। এটি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের একটি কথায় আমি উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি বলেছেন, ভিসানীতির আওতায় গণমাধ্যমও আসবে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর পাঠানপাড়া মোড়ে জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভিসা নীতি একান্তই আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কিন্তু চমৎকার। দেখলেন না কীভাবে জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুললেন, নিউইয়র্কে নৈশভোজ করালেন। তবে গণমাধ্যমকে তারা কোন যুক্তিতে ভিসা দেবে না, আমার বোধগম্য নয়। আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীন ও শক্তিশালী এবং গণতন্ত্রের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং কোন যুক্তিতে গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি কার্যকর হবে সেটি আমার বোধগম্য নয়। গণমাধ্যমের সঙ্গে সাংবাদিক, কলামিস্ট যারা যুক্ত আছেন তারা মনে করছেন এটি আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ।
মন্ত্রী বলেন, অন্য কোনো দেশের আমাদের স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করা সমীচীন নয়। গণমাধ্যমকর্মী ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এটি মেনে নিতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বদলে গেছে। আগে মানুষ খেতে পেত না; এখন ডায়েট করে। শ্রমিকরা আগে ৩ কেজি চাল কিনতে পারত না। এখন রিকশাচালকও দিনের আয়ে ২০ কেজি চাল কিনছেন।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বাধাগ্রস্তের চক্রান্ত করলে ভিসা নীতিতে কী আছে দেখতে যাব না, দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। স্যাংশন দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি পশমও ছেড়া যাবে না।
সাত বছর পর রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবলীগের এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমি দস্যুর কাছে যিনি প্রিয় নেতৃত্বে তার দরকার নেই।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দীন, আদিবা আনজুম মিতা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবাল প্রমুখ।
জেএন/এমআর