শরতের নীল আকাশ ও সাদা মেঘের ভেলা কবিগুরুকে ছুঁয়ে দিতো বারবার। তাইতো গানে গানে বলে গেছেন, ‘শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি’।
শরৎ এলে মনে করিয়ে দেয় ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দূর্গার আগমনী বার্তা। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠির মধ্যে দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা।
প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন মৃৎশিল্পীরা। বিভিন্ন জায়গার পূজা কমিটির সদস্যরা এসে বায়না করে যান এসময় থেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের বিখ্যাত কয়েকটি প্রতিমালয়ে প্রতিমার কাজ প্রায় শেষ। দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। অর্ডার অনুযায়ী প্রতিমা গড়তে দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না। নগরের প্রতিমালয়গুলোতে দেখা যায় চিরচেনা সেই ব্যস্ততা।
কথা হয় দেওয়ানজী পুকুর পাড় রাধাশ্যাম প্রতিমালয়ের স্বত্বাধিকারী মৃৎশিল্পী রতন কৃষ্ণ পালের সঙ্গে।
তিনি জয়নিউজবিডিকে বলেন, আয়-রোজগারের মূল কাজটি হয় এই সময়ে। কারখানায় দম ফেলার সুযোগ থাকে না। জুলাই শেষদিকে থেকে অনেকে প্রতিমা তৈরির অর্ডার দিয়ে দেন। এবছর ও ব্যতিক্রম হয়নি। কাজ নিয়ে সকলে ব্যস্ত।
নগরীর সদরঘাট এলাকার স্বর্গীয় দুলাল পাল শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মৃৎশিল্পী সুজন পাল জয়নিউজবিডিকে বলেন, এসময় আমাদের ইনকামের সময়। অন্যান্য বছরের মতো এবারো কাজের ব্যস্ততা রয়েছে। তিনি জানান, তার কারখানায় ১০ থেকে ১৫ জনের মতো মৃৎশিল্পী কাজ করেন।
বাংলাদেশ পূজা উদাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক সুকান্ত মহাজন টুটুল জয়নিউজবিডিকে বলেন, এবারের পুজোয় আমরা বিশেষ করে নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছি। যেহেতু সামনে নিবার্চন তার জন্য নিরাপত্তাটা আরো জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুজোর সময়ে অন্য ধর্মাবলম্বীদের যেন কোন ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সেদিকেও আমরা লক্ষ্য রাখছি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরজুড়ে এখন চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরি পর দেবীর প্রতিমাতে দেওয়া হবে রং-তুলির আঁচড়।
শারদ উৎসবে আরাধ্য দেবী মহামায়াকে বরণ করে নিতে নগরের ২৯৩টি পূজা মণ্ডপে চলছে জোর প্রস্তুতি। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় এবারের পূজা অনুষ্ঠিত হবে ২ হাজার ৪শ ৫৮টি।
জেএন/হিমেল/রাজীব