পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগ। এটি ব্যবহারে সরকারি নিষেধ থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাটহাজারী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারে অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ।
পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে সর্বত্র চটের ব্যাগ ব্যবহারে প্রশাসন কর্তৃক প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর অসাধু ব্যবসাযীরা কিছুদিন নীরব থাকলেও বর্তমানে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে আবারও সয়লাব হয়ে গেছে হাটহাজারী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইকারী-খুচরা দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন পণ্য কেনার পর পলিথিন ব্যাগে করে দেয়া হয়। এগুলো ব্যবহার শেষে নাল-নর্দমা, খাল-বিলে যত্রতত্র ফেলে দেয়ার কারণে একদিকে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে অন্যদিকে মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা।
আমাদের হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, হাটহাজারী পৌরসভায় প্রতিদিন ৩’শ টন বজ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ১ দশমিক ১ শতাংশ পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বজ্য প্রতিদিন নানা ভাবে বিভিন্ন খাল বিল হয়ে হালদা নদী ও পরবর্তীতে কর্ণফুলীতে পড়ছে।
মাছ এসব বজ্য খাচ্ছে। ফলে মাছের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মইক্রো মিশছে মানুষের শরীরে। এ ছাডাও পলিথিনের কারণে ভরাট হচ্ছে খাল, বাড়ছে দলাবদ্ধতা ও হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ।
হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার প্রশাসক মো. আবু রায়হান বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রথমে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।
হাটহাজারী পৌর এলাকা বা উপজেলার কোথাও পলিথিন উৎপাদন কারখানা না থাকলেও অন্যত্র থেকে এখানে পলিথিন আসে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সকলের সচেতনতার জন্য পৌর এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে পলিথিন ব্যাগের ক্ষতিকর প্রভাবসহ নানান ক্ষতিকর দিকগুলো প্রচার করা হবে। পাশাপাশি পলিথিন ব্যাগের সরবরাহ বন্ধ করতে বাজারে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হবে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম মশিউজ্জামান বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
খবর নিয়েছি হাটহাজারী উপজেলার কোথাও এগুলোর উৎপাদন কারখানা নেই। কোন ব্যবসায়ী যেন নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারী বাড়ানো হবে।
জেএন/রনজিৎ/রাজীব