আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২০ জনে। এতে আহত হয়েছে এক হাজারের মতো মানুষ।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান মুসা আসহারি জানিয়েছেন ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ইরানের সীমান্তের কাছে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন আটকা পড়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের কারণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ১২টি গ্রাম।
প্রাথমিক ভূমিকম্পের পর অন্তত তিনটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। হেরাতের বাসিন্দা বশির আহমেদ (৪৫) বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আমরা আমাদের অফিসে ছিলাম এবং হঠাৎ ভবনটি কাঁপতে শুরু করে। দেয়ালের প্লাস্টার নিচে পড়তে শুরু করে এবং দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। কিছু দেয়াল এবং ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না, নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আমি খুব চিন্তিত এবং ভীত। এটা সত্যিই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল।
হেরাত ইরানের সঙ্গে থাকা সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এবং এটা আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে বিবেচিত হয়। বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের তথ্য অনুসারে, আনুমানিক ১৯ লাখ মানুষ এ হেরাত প্রদেশে বসবাস করছে বলে বিশ্বাস করা হয়।
এর আগে গত বছরের জুনে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গত কয়েক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সেটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প ছিল বলে সেই সময় জানায় দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া চলতি বছরের মার্চে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সাড়ে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পে দুই দেশে অন্তত ১৩ জন নিহত হন।
মূলত হিন্দুকুশ পর্বতমালা ও ইউরেশীয়-ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থান হওয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান।
জেএন/এমআর