চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আলোচিত কোরবান আলী হত্যা মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খোরশেদ আলম ইকবালকে (৪৫) দীর্ঘ ২০ বছর পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
গতকাল শনিবার তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ফটিকছড়ি থানার জুনিঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার খোরশেদ আলম একই উপজেলার পাইন্দং এলাকার আলী আহম্মেদ ভুলুর ছেলে।
র্যাব জানায়, ২০০৩ সালের ৩১ মে দুপুরে ভুক্তভোগী কোরবান আলী দুপুরের খাবার খেয়ে তার খামার বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এসময় মামলার আসামিরা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে ভিকটিম কোরবান আলীর ওপর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তারা কোরবানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এসময় কোরবান আলীর স্ত্রী তাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
কোরবান আলীর স্ত্রীর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দুজনকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় কোরবান আলীর মৃত্যু হয়। তার স্ত্রীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, মামলা দায়ের হওয়ার পর কোরবান আলীর খুনিরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।
পরবর্তীতে পুলিশ প্রতিবদেন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রদানের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তিনি আরও জানান, গতকাল শনিবার ফটিকছড়ির জুনিঘাটা এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/আর এস