মুহাম্মদ আরফাত। বয়স ১৭। বাবার নাম মুহাম্মদ আলমগীর। বাড়ি চাদঁপুর জেলার কচুয়া থানা এলাকায় হলেও দীর্ঘদিন ধরে সে চট্টগ্রামের নাজিরহাট বাজারে সে মাছ কাটতো। সে সুবাধে সেখানে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে এক বন্ধুসহ বসবাস করতো।
রবিবার দিবাগত রাত ২টায়ও বাজারের লোকজন দেখেছে সুস্থ সবল হাস্যজ্জ্বল একজন তরুণ। পরদিন সকালেই সহপাঠীর কাছে জানা যায়, ভাড়া বাসার সিঁড়ির রুমে বাঁশের সাথে রশিতে ঝুলছে আরাফাতের নিথর দেহ।
খবর পেয়ে সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৮টায় দিকে বাজারের কালাপুল সংলগ্ন রেল স্টেশন সড়কের এনামের ভাড়া বাসার ওই সিঁড়ি রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, তার পিতাও বাজারে সুইপারের কাজ করে। পিতা-পুত্র আলাদা বাসায় থাকতো।
ঘটনার পর পিতা ও বোনে জানায়, চাঁদপুরে বাড়ির এক মেয়ের সাথে আরাফাতের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিছুদিন আগে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরেও মেয়েটির সাথে তার কথা হতো।
কয়েকদিন আগে আরাফাত তার হাতের মোবাইলটি টাকার জন্য বন্ধক রাখে। এতে তাদের কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এই নিয়ে প্রায় তার মন খারাপ থাকতো। মানসিক চাপে সে আত্নহত্যা করেছে বলে ধারণা পিতা ও বোনের।
লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে জানায় হাটহাজারী মডেল থানার ডিউটি অফিসার।
জেএন/আর এস