প্রথমার্ধে লড়াই হলো একপেশে। স্লোভাকিয়ার গোলরক্ষকের দুর্দান্ত কয়েকটি সেভের মাঝেই জালের দেখা পেলেন গনসালো রামোস ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াল স্লোভাকিয়া, দুই দফা ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত পর্তুগালের জয়রথ থামাতে পারল না দলটি। ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে জায়গা করে নিল ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
পোর্তোয় শুক্রবার রাতের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। তাদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রোনালদো, একটি রামোস। ‘জে’ গ্রুপে প্রথম সাত ম্যাচের সবগুলিই জিতল পর্তুগিজরা। তিন ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করল জার্মানির টিকেট।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা রোনালদোর হাতে ম্যাচ শুরুর আগে একটি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় পর্তুগালের হয়ে ২০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য। গত জুনে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ম্যাচ খেলার ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ পূর্ণ করেন তিনি। এরপর এই প্রথম ঘরের মাঠে খেলতে নামলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। কার্ডের খাঁড়ায় গত মাসে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে দলের ৯-০ গোলে রেকর্ড জয়ের ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি।
১৮তম মিনিটে রামোসের গোলে কাঙ্ক্ষিত লিড পায় স্বাগতিকরা। ফের্নান্দেসের ক্রসে বক্সে হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন পিএসজি ফরোয়ার্ড রামোস। ১০ মিনিট পর সফল স্পট-কিকে ব্যবধান বাড়ান রোনালদো। লেয়াওয়ের ক্রসে বল বক্সে স্লোভাকিয়ার এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৬টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখে পর্তুগাল। এই সময়ে স্লোভাকিয়া গোলে কোনো শটই নিতে পারেনি। প্রথমার্ধে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি, দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে টানা বৃষ্টিতে খেলার গতি কমে যায় কিছুটা। ৫৫তম মিনিটে গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নিতে পারে স্লোভাকিয়া, সেটিও বেশ বাইরে।
৬৯তম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় ব্যবধান কমায় স্লোভাকিয়া। বক্সের বাইরে থেকে আচমকা হান্সকোর শট বক্সে পর্তুগালের আন্তোনিও সিলভার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়, কিছুই করার ছিল না কস্তার।
চলতি বাছাইয়ে পর্তুগালের জালে এটিই প্রথম গোল! নিজেরা ২৬টি গোল করার পর প্রথম হজম করল তারা। তিন মিনিট পর দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করেন রোনালদো। ডান দিক থেকে ফের্নান্দেসের বাড়ানো বল দূরের পোস্টে ফাঁকায় পেয়ে জালে পাঠান তিনি।
৮০তম মিনিটে আবার ব্যবধান কমায় স্লোভাকিয়া। বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে ওপরের কোণা দিয়ে গোলটি করেন স্তানিস্লাভ লোবোতকা। এরপর আর কোনো গোল হয়নি।
জেএন/এমআর