রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, কালুরঘাট সেতুর ওপর ১৫ টন মিটারগেজ ইঞ্জিনের ট্রেন আগামী ৩০ বছর ঝুঁকিমুক্তভাবেই চলতে পারবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় মন্ত্রী কালুরঘাট ব্রিজের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পায়ে হেঁটে সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। এরপর ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে ইঞ্জিন ছিল, সেটি ১২ টনের। আমরা জানি যে, এই সেতু অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এটার স্ট্রেন্থ যাতে বাড়ানো যায়, সে কারণে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। কাজ চলমান। এই ব্রীজটি বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রীজ কালুরঘাটে হবে। যেটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, কক্সবাজার রেলপথে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দ্রুত গতির ভারী ইঞ্জিনের ট্রেন চলাচল করবে। সংস্কার ছাড়া কালুরঘাট সেতু দিয়ে এ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। আগামী বছরে আনুষ্ঠানিকভাবে চার লেইনের নতুন সড়ক সেতুর কাজও শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে শ্রমিকরা। সেতু সংস্কার ছাড়া এই রেলপথে হাই লোডের ইঞ্জিনবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।
তাই গত ১ আগস্ট থেকে ৯২ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্ববধানে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রেলপথ বসানোর কাজ। প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে।
১৯৩০ সালে কর্ণফুলী নদীর ওপর বিট্রিশ আমলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট ৬৩৮ মিটার সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ডেক বসিয়ে ১৯৬২ সালে রেল সেতুটিকে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হলে যান চলাচল শুরু হয়।
এর আগে সেতুটি দুইবার সংস্কার করা হয়েছিল। তৃতীয়বারের মত সংস্কার করা হচ্ছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল যাতায়াতের জন্য।
জানা যায়, এ সেতুর সংস্কার কাজের জন্য চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সকল প্রকার যানবাহন পারাপার বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে। এর বিকল্প পথ হিসেবে সেতুর পাশে কর্ণফুলী নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
জেএন/হিমেল/আর এস