দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের আওতায় নির্মিত ১৫০টি সেতু এবং বিভিন্ন মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১টায় তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি।
একই সঙ্গে ময়মনসিংহ জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কেওয়াটখালী সেতু ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিএর স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, বিআরটিসির বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক ভবনে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় সড়ক ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ‘তৃতীয় নেত্র’ উদ্বোধন করেন। এরপর সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
দেশের ৮ বিভাগের ৩৯ জেলায় নির্মিত এই ১৫০ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ৪৫৪ মিটার বা ৯ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। যা নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ৪০টি সেতু, ঢাকা বিভাগে ৩২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২২টি সেতু, খুলনা বিভাগে ১২টি সেতু, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ৮টি করে সেতু এবং সিলেট বিভাগে একটি সেতু।
এ ছাড়া রংপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা জেলায় ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৬৮৯ মিটার দৈর্ঘ্যের এসব স্থাপনায় নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২০৮ কোটি টাকা।
জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় এসব প্রকল্প বাস্তাবায়ন করেছে সরকার।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ১৫০টি সেতু ও বিভিন্ন মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাস প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সারা দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাবে। সেতুগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জিডিপি বাড়াতে সহায়ক হবে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর জানায়, ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস দেশের প্রান্তিক জনগণের যোগাযোগব্যবস্থায় সমৃদ্ধি আনবে। এ ছাড়া তাদের জীবন নিরাপদ ও সময় সাশ্রয়ী করে তুলবে।
জেএন/পিআর