সোয়া কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সুত্র জানায়, ২০২০ সালে পারভীন আক্তার সিলেটের সাব-রেজিস্ট্রার থাকাকালীন সেখানকার একটি কোম্পানির নামে থাকা ১৫ একর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়।
একইসঙ্গে ব্যক্তি মালিকানা ও টিলা শ্রেণি দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ১২টি দলিল রেজিস্ট্রেশনও করে দেন পারভিন আক্তার। এতে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
এ ঘটনায় ওই কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজারুল আলম চৌধুরী ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ২২ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন।
মামলায় দলিলদাতাকে প্রধান ও সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে ২ নম্বর আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
মামলার পর আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।
পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় তিনজন আসামি আদালত থেকে জামিন নিলেও পারভিনসহ বাকি ১৮ জন আসামি পলাতক ছিলেন।
বুধবার সাব-রেজিস্ট্রার পারভীন আক্তার আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম।
জেএন/রাজীব