চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুলেন সড়ক টানেল। বাংলাদেশ সরকার এটির নামকরণ করেছে বঙ্গবন্ধু টানেল।
দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে যানবাহন চলাচলকারী প্রথম টানেল এটি। এক নজরে জেনে নেয়া যাক স্বপ্নের টানেলটির কিছু তথ্য।
এ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩৯ কিমি, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩১৫ কিমি, এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫.৩৫ কিমি, টানেলের ধরন দুই লেনের ডুয়েল টানেল, প্রবেশপথ-চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কাছে, কর্ণফুলী নদীর ভাটির দিকে নেভি কলেজের কাছে। বহির্গমন-আনোয়ারা প্রান্তে সার কারখানার কাছে।
এই বিবরণ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য এবং সেতু বিভাগের ওয়েবসাইটের বর্ণনায় তুলে ধরা হয়েছে।
টানেলটি নির্মাণ ও ব্যয় : ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, আর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
২০২০ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনের কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারিসহ কয়েক দফায় পেছায় প্রকল্প শেষের সময়। সাথে বাড়ে ব্যয়ও।
প্রাথমিকভাবে যেটা সাড়ে ৮ হাজার কোটির কিছুটা কম ছিল সেটা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকায়।
এর মাঝে বাংলাদেশ ব্যয় করছে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭০ লাখ এবং চীনের ঋণ ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা।
এ টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ : এই টানেল নির্মাণে কাজ করেছে চীনের চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেই কোম্পানির সাথেই পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে বলে জানান টানেল নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
তবে এই টানেলটি খুবই ‘সংবেদনশীল’ এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ খুব সহজ হবে না বলে মত সুভাস বড়ুয়ার। এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমন প্রতিদিন কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারণ করে অক্সিজেন প্রবেশ করানো এমন নানা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া টানেলে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সেটাকে উদ্ধারের খরচটাও বেশ বড় হবে বলছেন মিঃ বড়ুয়া।
আওয়ামী লীগ সরকারের মেগাপ্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি একটি, যেটা নির্বাচনের আগে আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) উদ্বোধন করেছেন সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
জেএন/রাজীব