পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার পর বিশ্বকাপে আরও একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের দেখা মিলল। তাসমান পাড়ের দুই প্রতিবেশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দুর্দান্ত লড়াই করেছে। ওই লড়াইয়ে অজিদের ৩৮৮ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড।
শনিবার ধর্মশালায় টস হেরে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড বিধ্বংসী শুরু করেন। ২৫ বলে ফিফটি করে বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন। তার সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে মাত্র ১৯.১ ওভারে ১৭৫ রানের জুটি দেন ডেভিড ওয়ার্নার। অভিজ্ঞ ওপেনার ৬৫ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ছয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চারের শট খেলেন।
মাঠে ফিরেই সেঞ্চুরি করেন অন্য ওপেনার হেড। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। তিনি ১০টি চার ও সাতটি ছক্কার শট মারেন। তিনে নামা মিশেল মার্শ ৩৬ রান করেন। পরে ম্যাক্সওয়েল, জস ইংগলিস ও প্যাট কামিন্সরা ঝড় তোলেন। ম্যাক্সওয়েল খেলেন ২৪ বলে দুটি ছক্কা ও পাঁচটি চারের শটে ৪১ রানের ইনিংস। ইংগলিস ২৮ বলে ৩৮ রান করেন। অধিনায়ক কামিন্স ১৪ বলে চারটি ছক্কা ও দুই চারে ৩৭ রানের ঝড় দেখান।
জবাব দিতে নেমে দুই ব্ল্যাক ক্যাপস ওপেনার ডেভন কনওয়ে (২৮) ও উইল ইয়ং (৩২) সেট হয়ে আউট হন। পরে রচিন রবীন্দ্র ও ডার্লি মিশেল জুটি গড়েন। মিশেল ফিরে যান ৫৪ রান করে। পরে গ্লেন ফিলিপসও (১২) আউট হন। তবে রচিন ছিলেন অনন্য। তিনি ৮৯ বলে খেলেন ১১৬ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। শেষে জিমি নিশাম ৩৯ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৫৮ রান করে দলকে জয়ের আশা দিলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি।
এর আগে বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও গ্লেন ফিলিপস। দুই উইকেট নেন স্যান্টনার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা নেন তিন উইকেট। পেসার জস হ্যাজলউড ও কামিন্স দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
জেএন/এমআর