চট্টগ্রামের রাউজানে বৈদ্যুতিক পাখায় ওড়না পেঁচানো ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনদের তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পশ্চিম গুজরার মজিদাপাড়ার শয়নকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম সাদিয়া নাসরিন আখিঁ (২৮)। সে ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী জিয়াউল হকের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালে রাউজান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নুরুল আলমের মেয়ে সাদিয়া নাসরিন আঁখির সাথে ওমান প্রবাসী জিয়াউল হকের বিয়ে হয়।
বিয়ের তিনবছর পর জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। শ্বশুর বাড়ির লোকজন বা স্বামীর সঙ্গে কোনো ধরনের মতবিরোধ ছিল না।
আখিঁর শ্বশুর জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ৭ বছর বয়সী মেয়েকে ঘুমে রেখে বৈদ্যুতিক পাখায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে আঁখি।
মেয়ে তার মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার চাচা হামিদুল হকের স্ত্রীকে ডেকে দেখান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে।
আখিঁর মা নাছিমা আকতার বলেন, আমার মেয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। কয়েকদিন আগে শ্বশুর বাড়িতে যায়।
গতকাল শনিবার রাতে মেয়ে ফোনে তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে সেখানে যাওয়ার কথা বলেছিল। এরপর খবর পাই, আমার মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে জানালেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন। তিনি বলেন, রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।
জেএন/আর এস